প্রকাশিত: ৩১/০৮/২০১৮ ৩:১৬ পিএম

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের উত্তর বাইটকামারী কওমী মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) মাওলানা আব্দুল বাছেদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের শিকার হয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীটি বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে। মাদ্রাসার মুহতামিম একই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।

উত্তর বাইটকামারী গ্রামের অধিবাসী অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেছেন, তার মেয়ে পূর্ব পাখিউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। প্রায় ৫ মাস আগে কোরান শিক্ষার জন্য কওমী মাদ্রাসার মুহতামিম আব্দুল বাছেদের কাছে তার মেয়েকে পাঠান। এরই সুযোগে আল্লাহ’র গজব পড়াসহ নানারকম ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রীটির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করে তোলে ওই মুহতামিম।

এ অবস্থায় ছাত্রীটির পেট বড় দেখে গত বুধবার (২৯ আগস্ট) রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হলে সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিষয়টি ধরা পড়ে। ফলে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়ে। ছাত্রীটির বাবা আরও অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় দেওয়ানীরা বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে।

এদিকে, অভিযুক্ত মুহতামিম মাওলানা আব্দুল বাছেদের সঙ্গে কয়েকবার চেষ্টার পর শুক্রবার (৩১ অাগস্ট) সকালে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফাঁসানোর জন্য অন্তঃসত্ত্বা দায় তার ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি টাকা-পয়সা দিয়ে বিষয়টি মিমাংসার দায়িত্ব নিয়েছেন। কত টাকায় মিমাংসা হবে-এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কাবেল উদ্দিন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়র ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জানান, এলাকাবাসী ঘটনাটি আপস মিমাংসা করার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি।

এ প্রসঙ্গে বন্দবেড় ইউনিনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উত্তর বাইটকামারী কওমী মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের দাবি করেছেন, তার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছেন। মাদ্রাসা ঈদের ছুটিতে বন্ধ রয়েছে। শনিবার খুলবে। এজন্য ওই মুহতামিম এখন এলাকা নেই। রংপুরে আছে বলে শুনেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত